২০২২ সালে দ্রুত সফল হওয়ার জন্য সেরা ৫ টি চ্যানেল।
আসসালামু আলাইকুম সবাইকে বন্ধুরা আজকের ভিডিওতে আমি এমন ৫টি নিশ বা টপিক সম্পর্কে কথা বলবো যেগুলোর ভিত্তি করে যদি আপনি বাংলায় কনটেন্ট তৈরি করেন তাহলে ইনশাআল্লাহ আপনি খুব দ্রুত ইউটিউবে সফল হতে পারবেন। সেজন্য অবশ্যই আজকের ব্লগটি সম্পূর্ণ পড়বেন। আর পুরো ব্লগি পড়ার সময় না হলে এই ভিডিও দেখে নিতে পারেন আরো ভালো অভিজ্ঞতা পাওয়ার জন্য।
1.Personal finance
বন্ধুরা ১ নম্বর টপিক হলো personal finance। এখন পার্সোনাল ফিন্যান্সটা কি?? যারা ফিন্যান্স বুঝেন বা ফিন্যান্স নিয়ে পড়াশোনা করেন তারা বিষয়টা ভালো বুঝবেন,তারপরেও আপনাদের জন্য আমি একটু সংক্ষেপে বলি, পার্সোনাল ফিন্যান্স হলো আপনার ব্যক্তিগত আর্থিক ক্রিয়াকলাপ যার দ্বারা বোঝানো হয় কোথায় আপনাকে কতটুকু বিনিয়োগ করা উচিত কিংবা আপনারা আয়ের কত শতাংশ জমা রাখলে আপনি ৫ বছর পর অবসর নিতে পারবেন। এগুলো ছাড়াও আরো অনেক বিষয় আছে যেগুলো এই পার্সোনাল ফিন্যান্স এর মধ্যে পড়ে। এখন বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে এই পার্সোনাল ফিন্যান্স নিয়ে প্রচুর আগ্রহ রয়েছে অর্থাৎ এই ধরনের কনটেন্ট এর পাবলিক ডিমান্ড অনেক বেশি। কিন্তু এর বিপরীত দিকে যদি আমরা লক্ষ্য করি বাংলাদেশের মার্কেটে পার্সোনাল ফিন্যান্স নিয়ে তেমন একটা কথা বার্তা হয় না বা এ ধরনের কনটেন্টের কোনো ভালো ইউটিউব চ্যানেল আমার চোখে এখনো পড়েনি। আপনাদের যদি এমন কোনো ভালো চ্যানেল সম্পর্কে জানা থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এখন যেহেতু এই ধরনের কনটেন্টের পাবলিক ডিমান্ড অনেক বেশি এবং সেই তুলনায় প্রতিযোগিতা কম। সেইজন্য আমি আপনাদের রিকমেন্ড করব ফিন্যান্স সম্পর্কে যদি আপনার ধারনা থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার পার্সোনাল এর উপর বাংলায় কনটেন্ট তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড করা উচিত। কারণ এই ধরনের কনটেন্টে দ্রুত সফলতা অর্জন করা সম্ভব। এছাড়াও ফিন্যান্স সিটিএম এবং আরপিএম রেট বেশি সেক্ষেত্রে এ ধরনের কনটেন্ট থেকে আপনি প্রচুর আয় করতে পারবেন।
2.Apps and software review
বন্ধুরা ২ নম্বরে যে টপিকের কথা উল্লেখ করবো সেটা হচ্ছে apps and software review. এখন আপনারা হয়তো বলবেন এই ধরনের কনটেন্ট ইউটিউবে অনেক আছে। হ্যা এটা ঠিক যে এ ধরনের কনটেন্ট ইউটিউবে অনেক আছে কিন্তু তা সত্বেও শুধুমাত্র বাংলায় এপস বা সফটওয়্যার রিভিউ করার মতো কোনো ভালো চ্যানেল এখনো ইউটিউবে তৈরি হয়নি। সেক্ষেত্রে শুধু মাত্র এপস সফটওয়্যার রিভিউ করার মতো একটা চ্যানেল যদি আপনি তৈরি করতে পারেন তাহলে অত্যন্ত দ্রুত সফল হতে পারেন। কারণ বর্তমানে আমরা যে পরিস্থিতির মধ্যে আছি আর টেকনোলজির যেভাবে উন্নতি হচ্ছে সেই জায়গায় আমরা প্রতিদিন নানান কাজে নানান এপস, সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকি। এখন কোনো সফটওয়্যার আমাদের জন্য ভালো নাকি খারাপ এসব বিষয় জানতে কিন্তু আমরা ইউটিউবে এসে সার্চ করি। আর সেইজন্য আপনি যদি এপস ও সফটওয়্যার রিভিউ করা হয় এমন একটা ভালো চ্যানেল তৈরি করতে পারেন তাহলে খুবই দ্রুত সফল হতে পারবেন। আর এ ধরনের কনটেন্ট থেকে আপনি এতো বেশি সফল হতে পারবেন যে বড় বড় সফটওয়্যার কম্পানির ডিলও আপনি পেয়ে যেতে পারেন।
3.Explain :
বন্ধুরা ৩ নম্বর নিশ বা টপিক হলো explain চ্যানেল। এখন বাংলাদেশে যেসব explain চ্যানেল দেখে সেগুলো বেশির ভাগই ফানি ভিডিও টাইপ, সেগুলো তেমন শেখার কিছু নাই। কিন্তু আপনি যদি এমন একটা explain চ্যানেল তৈরি করতে পারেন যা দেখে দর্শকরা কিছু শিখতে পারে তাহলে এখানেও আপনি সফল হবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। এখন explain চ্যানেল বলতে যে আপনাকে স্পেস এক্স এর রকেট কেনো চাঁদে বিদ্ধস্ত হলো আবার জাপানে কেনো বেশি ভূমিকম্প হয় এসব জটিল বিষয় নিয়ে কথা বলা লাগবে এমনটা না। আপনি বলতে পারেন একটা ভালো মুরগীর ডিম কেনো পানিতে ডুবে যায় আর পঁচা ডিম কেনো পানিতে ভাসে এসব বিষয় নিয়েও কিন্তু আপনি কথা বলতে পারেন। আর ভালো explain চ্যানেল বলতে আপনি এনায়েত চৌধুরী, ভয়েস অব ঢাকা এই চ্যানেল গুলোকে ফলো করতে পারেন। আর এ ধরনের চ্যানেল গুলোকে সব ধরনের দর্শকরাই পছন্দ করে যার কারণে এগুলোকে দ্রুত গ্রো করানো সম্ভব হয়।
4.Daily Talk show:
বন্ধুরা আমার লিস্টে চার নম্বরে যে টপিক রয়েছে সেটা হলো daily talk show। এখন টক শো শুনে আপনারা হয়তো ভাবছেন টিভিতে যে আমরা টক শো দেখি সেখানে দুইজন রাজনৈতিক দলের নেতা একটা বিষয় নিয়ে একজন আরেকজনের সাথে তর্কাতর্কি করে এখানে কিন্তু আমি সেটা বুজচ্ছি না। এখানে আমি ডেইলি টক শো বলতে বুজচ্ছি পৃথিবীতে প্রতিদিন যে বড় বড় ঘটনা গুলো ঘটছে সেগুলো একত্র করে তিন থেকে চারজন বন্ধু ক্যামেরার সামনে বসে সুন্দর করে সেই ঘটনার গুলোর ভালো মন্দ একজন আরেকজনের সাথে আলোচনা করবেন। এ রকম একটা শো যদি আপনি একটা ইউটিউব চ্যানেলে সর্বোচ্চ এক মাস চালিয়ে যেতে পারেন তাহলে আপনার চ্যানেলটা এই প্ল্যাটফর্মে একটা ইউনিক চ্যানেল হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। কারণ এ ধরনের চ্যানেল ইউটিউবে কয়েকটা আছে এবং সেগুলোর ভাষা ইংলিশ। কিন্তু আপনার যদি বাংলায় এমন ডেইলি টক শো টাইপ চ্যানেল থাকে তাহলে আপনার চ্যানেল যে অত্যন্ত দ্রুত পপুলার হবে সেটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। আর সেইজন্য আপনারা যারা কয়েকজন বন্ধু মিলে ফানি, কমেডি টাইপ চ্যানেল খোলার কথা ভাবছেন তাদের আমি রিকমেন্ড করবো এসব হাবি যাবি বাদ দিয়ে, Daily talk show টাইপ একটা চ্যানেল করার জন্য।
5.Book review :
বন্ধুরা ৫ নম্বর যে টপিকের কথা উল্লেখ করবো সেটা হচ্ছে book review. এটা শুনে হয়তো বলবেন ইউটিউবে তো বুক রিভিউ চ্যানেল আছেই। হ্যা এটা ঠিক যে আছে কিন্তু বাংলায় ভালো বুক রিভিউ করতে পারে এমন ক্রিয়েটরের সংখ্যা ইউটিউবে এখনো অনেক কম। আর বিশ্বে যে পরিমানে লেখক এবং বই রয়েছে সেই সব গুলোকে কভার দেওয়ার মতো ১০-১২ টা চ্যানেল যথেষ্ট না। সেইজন্য আমি আপনাদেরকে রিকমেন্ড করবো আপনার যদি বই পড়তে ভালো লাগে সেই ভালো লাগাটাকে ভিডিওতে কনভার্ট করে ইউটিউবে আপলোড করতে পারেন। কারণ এধরনের ক্যাটাগরির চ্যানেল আরো দরকার। আর এসব চ্যানেলে প্রতিযোগিতা তেমন প্রভাব ফেলে না। কারণ একজন দর্শক যদি কোনো বই কিনতে চায় সে শুধুমাত্র একটা রিভিউ দেখে বই কিনবে না, সে কিন্তু আরো ৮-১০ টা রিভিউ দেখে একটা বই কেনার সিদ্ধান্ত নিবে। সেইজন্য আপনি ভালো বুক রিভিউ জানলে অবশ্যই আপনাকে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করা উচিত। কারণ বুক ইন্ডাস্ট্রিতে এখনো ভালো কিছু করার সুযোগ আছে।
বন্ধুরা এই ছিল আমার উল্লেখ করা৷ ৫টি টপিক বা নিশ যেগুলো নিয়ে যদি আপনি কাজ করেন তাহলে আপনি অনেক দ্রুত সফল হতে পারবেন। তো এই ৫টির মধ্যে কোন টপিকটি আপনার বেশি পছন্দ সেটা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আজকেই এই পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ।
কোন মন্তব্য নেই