বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়,ইউটিউবের "Reused Content Policy" সম্পর্কে আলোচনা করব।বর্তমানে ইউটিউবে প্রচুর সংখ্যক চ্যানেলের মনিটাইজেশন বাতিল হয়ে যাচ্ছে এই "Reused Content" এর কারণে। সেইজন্য আজকে আপনাদের জানাবো "Reused Content Policy" সম্পর্কে এবং সেই সঙ্গে জানাবো যদি আপনার চ্যানেলের মনিটাইজেশন Reused Content এর কারণে বাতিল হয়ে থাকে তাহলে এক্ষেত্রে আপনার কি করা উচিত।তাই অবশ্যই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।
বন্ধুরা ফেসবুক,ইনস্টাগ্রাম,টিকটক ইত্যাদি যে ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম রয়েছে,সেগুলোর মধ্যে নিজেদের "১ নম্বর " পজিশন ধরে রাখার জন্য ইউটিউবে "কপিরাইট পলিসি এবং ফেয়ার ইউস পলিসি" নামে দুটো পলিসি রয়েছে। আর দুটো পলিসি ছাড়াও ইউটিউবকে সম্পূর্ণ আবর্জনা মু্ক্ত এবং দর্শকদের ভালো অভিজ্ঞতা দেওয়ার জন্য ইউটিউব "Reused Content Policy " নামে আরেকটি পলিসিকে নিয়ে এসেছে।
Reused Content কি?
একই কনটেন্ট যদি একাধিক বার একই উদ্দেশ্য নিয়ে ইউটিউবে আপলোড করা হয় তাহলে সেগুলো কে " Reused Content" হিসেবে ধরা হয়।
কি কি কারণে Reused Content হতে পারেঃ-
১.অন্যের কনটেন্ট যদি কোনো রকম পরিবর্তন না করে অর্থাৎ একই উদ্দেশ্য নিয়ে নিজের ভিডিওতে ব্যবহার করলে reused content হতে পার।
২. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, টিকটক ইত্যাদি অন্য কোনো প্ল্যাটফর্ম থেকে ভিডিও ডাউনলোড করে ইউটিউবে দিলে reused content হতে পারে।
কিভাবে চ্যানেলকে Reused Content থেকে রক্ষা করবেন?
১.চেষ্টা করবেন যত কম সম্ভব অন্যের কনটেন্ট ব্যবহার করবেন।
২.অন্যের কনটেন্ট ব্যবহার করলে সেখানে সামান্য কিছু অংশ অর্থাৎ যতটুকু প্রয়োজন তার বেশি ব্যবহার করবেন না।যেমন ৫ মিনিটের একটি অন্যের ভিডিও থেকে ৩০-৪০ সেকেন্ডের বেশি ব্যবহার না করাই সবচেয়ে ভালো হবে।
৩. অন্যের কোনো ভিডিও ফুটেজ আপনার ভিডিওর সম্পূর্ণ স্ক্রিনে ব্যবহার করবেন না। আপনার ভিডিওর পাশে ছোট করে দেখাবেন।
৪.ভিডিওতে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ব্যবহার করলে, সেগুলো ইউটিউবের অডিও লাইব্রেরি থেকে ডাউনলোড করে ব্যবহার করবেন।
Reused Content এর কারণে চ্যানেল মনিটাইজ না হলে করণীয়ঃ-
১.যে ভিডিও গুলোতে অন্যের কনটেন্ট ব্যবহার করেছেন সেগুলো ডিলিট করেদিন,ডিলিট করার পর ওয়াচ টাইম কমে গেলে,নতুন কিছু ভিডিও আপলোড করবেন।তবে অবশ্যই সেগুলো সম্পূর্ণ নিজের তৈরি হতে হবে।
২.মনিটাইজ বাতিল বা গ্রহণ না হলে, ১ মাস পর আবার পুনরায় apply করা যাবে,সেজন্য অবশ্যই চ্যানেলের সব রি-ইউজ কনটেন্ট ডিলিট করতে হবে।
তে বন্ধুরা আশা করি আপনার বুঝতে পেরেছেন ইউটিউবের Reused Content সম্পর্কে। যদি কোনো সমস্যা বা প্রশ্ন থাকে কমেন্ট করে জানিয়ে দিন।আর এই বিষয়টি একটি ভিডিও আকারে দেখতে চাইলে এই ভিডিওটি দেখুন।ধন্যবাদ।
কোন মন্তব্য নেই